হিটলারের জীবনের ১০টি অজানা বিস্ময়কর তথ্য প্রবন্ধটি ইতিহাসের এই বিতর্কিত নেতার জীবন ও কর্মকাণ্ডের বেশ কিছু কম-পরিচিত ও চমকপ্রদ দিক তুলে ধরে। এসব তথ্য হিটলারের ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক জীবনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অজানা বিষয়গুলোকে উন্মোচিত করে, যা পাঠকদের জন্য দারুণ আগ্রহের সৃষ্টি করবে।
১. হিটলার ছিলেন অমিতব্যয়ীঃ হিটলার বিলাসী জীবনযাপন করতে পছন্দ করতেন। তিনি বেশ খরচাপ্রবণ ছিলেন এবং নিজের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করতেন।
২. আর্ট স্কুলে ভর্তির ব্যর্থ চেষ্টাঃ যখন হিটলার ফ্যাসিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেন, তখন হয়তো কেউ ভাবতে পারেনি যে তিনি একসময় একজন শিল্পী হতে চেয়েছিলেন। তবে দুইবার চেষ্টা করেও ভিয়েনার আর্ট স্কুলে ভর্তি হতে পারেননি।
৩. শিল্পের প্রতি হিটলারের ভালোবাসাঃ হিটলারের শিল্প ও শিল্পীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ছিল। যদিও নিজের শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি, তবু তিনি জার্মান শিল্পীদের প্রতি বিশেষ স্নেহ ও সম্মান দেখাতেন।
৪. প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুঃ হিটলারের প্রিয় অভিনেতা ছিলেন ডাচ শিল্পী জোহানেস হিস্টারস, যিনি ২০১১ সালে মারা যান। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত অপেরা গায়কও।
৫. আয়নার সামনে বক্তৃতার প্রস্তুতিঃ হিটলার ছিলেন একজন আত্মমুগ্ধ ব্যক্তি, নিজের চেহারা নিয়ে সবসময় চিন্তিত থাকতেন। বক্তৃতার আগে তিনি ছবি তুলে দেখতেন, তাকে কেমন লাগছে। এভাবেই তিনি জনসম্মুখে নিজেকে নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করতে চাইতেন।
৬. কুকুরের বাহিনীঃ কথিত আছে, হিটলার কিছু কুকুরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন, যাতে তারা মানুষের কথা বুঝতে পারে। এমনকি তারা তার সঙ্গে কথাও বলত। যুদ্ধের সময় এসব কুকুরের বিশেষ ভূমিকা ছিল।
৭. ডিজনির কার্টুনের প্রতি ভালোবাসাঃ অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্য, হিটলার ডিজনির কার্টুন ও রূপকথার বিশেষ ভক্ত ছিলেন। তার প্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ছিল “স্নো হোয়াইট” এবং “কিং কং”।
৮. গোঁফ কাটার কারণঃ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার তার সিগনেচার গোঁফ রাখার আগে পূর্ণ গোঁফ রেখেছিলেন। তবে তার কমান্ডার তাকে গোঁফ কাটতে বলেন, কারণ গ্যাস মাস্ক পরার সময় গোঁফ বাধা দিত। তবু, গ্যাস আক্রমণে তিনি সাময়িকভাবে দৃষ্টিশক্তি হারান।
৯. অপেরার প্রতি গভীর অনুরাগঃ হিটলার ছোটবেলা থেকেই অপেরা দেখতে ভালোবাসতেন। তার আত্মজীবনী “মাইন ক্যাম্ফ” এ তিনি উল্লেখ করেছেন, অপেরা দেখার জন্য তিনি প্রায়ই স্কুল ফাঁকি দিতেন।
১০. খাবার পরীক্ষার জন্য আলাদা কর্মীঃ হিটলার সবসময় বিষ প্রয়োগে মৃত্যুর আশঙ্কা করতেন। তাই প্রতিটি খাবার খাওয়ার আগে তিনি একজন কর্মচারী দিয়ে তা পরীক্ষা করাতেন। মৃত্যুভীতির কারণে তিনি এই পদক্ষেপ নিতেন।
প্রত্যেকের জীবনেই উভয় দিক থাকে, যেমনটি ছিল হিটলারের ক্ষেত্রে। তার জীবন ছিল একদিকে অদ্ভুত, আবার অন্যদিকে নির্মম। ইতিহাসে তার অবদান যেমন ভয়াবহ, তেমনই অজানা দিকগুলোও চমকপ্রদ।
আরও জানুনঃ
[…] :: হিটলারের ১০টি অজানা তথ্য মিশরের পিরামিড এর রহস্য ও তৈরির […]
[…] :: হিটলারের ১০টি অজানা তথ্য মিশরের পিরামিড এর রহস্য ও তৈরির […]
[…] :: হিটলারের ১০টি অজানা তথ্য মিশরের পিরামিড এর রহস্য ও তৈরির […]