চীনের মহাপ্রাচীর, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য এবং মানবসৃষ্ট দীর্ঘতম স্থাপনা
চীনের মহাপ্রাচীর, সপ্তম আশ্চর্য এবং মানবসৃষ্ট দীর্ঘতম স্থাপনাচীনের মহাপ্রাচীর পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতাব্দীতে নির্মাণ শুরু হয়েছিল এবং মিং রাজবংশের সময়ে বর্তমান আকারে উন্নীত হয়। প্রায় ১৩,০০০ মাইল দীর্ঘ এই প্রাচীরটি উত্তর থেকে আসা শত্রুদের আক্রমণ থেকে চীনকে রক্ষা করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি চীনের স্থাপত্য ও প্রযুক্তিগত কৌশলের এক অবিস্মরণীয় নিদর্শন।
২. পেট্রা, জর্ডান (Petra, Jordan)
পেট্রা, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য এবং জর্ডানের প্রাচীন পাথুরে শহর
পেট্রা জর্ডানের একটি প্রাচীন শহর, যা পাথরের মধ্যে খোদাই করা স্থাপত্য এবং জলবাহী প্রযুক্তির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। নাবাতিয়ান রাজ্য প্রায় ২১০০ বছর আগে পেট্রা নির্মাণ করে। এর সুউচ্চ খোদাই করা মন্দির এবং অন্যান্য স্থাপত্যের জন্য পেট্রা “রোজ সিটি” নামে পরিচিত, যা পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।
৩. ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার, ব্রাজিল (Christ the Redeemer, Brazil)
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার, পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য এবং ব্রাজিলের বিখ্যাত মূর্তিশিল্প
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অবস্থিত ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার বিশাল খ্রিস্ট মূর্তি, যা ১৯৩১ সালে উদ্বোধন করা হয়। ৯৮ ফুট উচ্চতার এই মূর্তিটি করকোভাদো পর্বতের শীর্ষে স্থাপন করা হয়েছে। এটি ব্রাজিলের অন্যতম প্রধান প্রতীক এবং খ্রিস্টান ধর্মের মূর্তিমান প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
৪. মাচু পিচু, পেরু (Machu Picchu, Peru)
মাচু পিচু, পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য এবং পেরুর ইনকা সভ্যতার বিস্ময়কর নিদর্শন
মাচু পিচু পেরুর আন্দিজ পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত ইনকা সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ। এটি ১৫শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল এবং ইনকা সভ্যতার অন্যতম প্রধান নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। মাচু পিচু বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থান এবং এটি ইনকা সাম্রাজ্যের ঐতিহ্য এবং স্থাপত্য কলার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
৫. চিচেন ইৎজা, মেক্সিকো (Chichen Itza, Mexico)
চিচেন ইৎজা, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য এবং মেক্সিকোর মায়া সভ্যতার প্রাচীন পিরামিড
চিচেন ইৎজা মেক্সিকোর ইউকাতান উপদ্বীপে অবস্থিত একটি প্রাচীন মায়া শহর। এই স্থানটি মায়া সভ্যতার অন্যতম প্রধান ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিল। এর পিরামিড আকৃতির মন্দির, যা “এল কাস্টিলো” নামে পরিচিত, বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই পিরামিডটি জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হত।
৬. রোমের কলোসিয়াম, ইতালি (Colosseum, Italy)
রোমের কলোসিয়াম, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য, ইতালির প্রাচীন রোমান স্থাপত্য
রোমের কলোসিয়াম একটি বিশালাকার প্রাচীন রোমান অ্যাম্ফিথিয়েটার, যা খ্রিস্টপূর্ব ৭০-৮০ অব্দে নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি রোমান সাম্রাজ্যের অন্যতম প্রধান স্থাপত্য নিদর্শন এবং এটি বিভিন্ন ধরনের গ্ল্যাডিয়েটর যুদ্ধ এবং অন্যান্য জনসমাবেশের জন্য ব্যবহৃত হত। কলোসিয়াম বর্তমানে রোমের অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। রোমের কলোসিয়াম নতুন পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যগুলুর মধ্যে অন্যতম।
৭. তাজমহল, ভারত (Taj Mahal, India)
তাজমহল, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য, অনন্য স্থাপত্যের নিদর্শন, ভারত
ভারতের আগ্রায় অবস্থিত তাজমহল একটি বিশাল সাদা মার্বেল সমাধি, যা মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার প্রিয় স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মরণে নির্মাণ করেছিলেন। ১৬৩২ থেকে ১৬৫৩ সালের মধ্যে নির্মিত। এই স্থাপনাটি নতুন পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য মধ্যে অন্যতম সুন্দর এবং রোমান্টিক স্থাপত্য হিসেবে পরিচিত। তাজমহল তার অসাধারণ স্থাপত্য কৌশল এবং নান্দনিক সৌন্দর্যের জন্য বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত।
এই পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যগুলো আধুনিক বিশ্বের স্থাপত্যকলার এক অনন্য নিদর্শন এবং মানব ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ের সাক্ষ্য বহন করে। প্রতিটি নিদর্শনই তার নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে টিকে আছে এবং মানুষকে বিস্মিত করে চলেছে।
[…] আরো পড়ুনঃ নতুন পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য | আবিষ্কার … […]
[…] রহস্যময় স্থান – অজানা বিস্ময় নতুন পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য | আবিষ্কার … প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য : […]